"यतीन्द्रनाथ दास": अवतरणों में अंतर

नया पृष्ठ: jatin das was a fridam fighter । he frind was sahid bhagat singh.
 
No edit summary
पंक्ति 1:
jatin das was a fridam fighter । he frind was sahid bhagat singh.
যতীন্দ্র নাথ দাস (২৭ অক্টোবর, ১৯০৪ - ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯), ছিলেন একজন ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং বিপ্লবী ভগৎ সিংয়ের সহকর্মী। আত্মত্যাগী, সাহসী মানুষটি লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯২৯ সালের ১৪ই জুন গ্রেপ্তার হন। জেলবন্দীদের অধিকারের দাবিতে ওই বছরই ১৩ই জুলাই অনশন শুরু করেন তিনি। ৬৩ দিন অনশনের পর ১৩ই সেপ্টেম্বর মাত্র ২৪ বছর বয়সে জেলেই মৃত্যু হয় তাঁর।[১][২] স্বাধীনতার পর তাঁর সম্মানে কলকাতা মেট্রোর হাজরা অঞ্চলের মেট্রো স্টেশনটির নামকরণ করা হয় যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন।
 
পরিচ্ছেদসমূহ [আড়ালে রাখো]
১ জন্ম শৈশব ও শিক্ষা
২ কর্মজীবন
৩ বিপ্লবী জীবন
৪ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অনশনে শহীদগণ
৫ আরো দেখুন
৬ তথ্যসূত্র
৭ বহিঃসংযোগ
জন্ম শৈশব ও শিক্ষা[সম্পাদনা]
যতীন্দ্রনাথ দাসের জন্ম কলকাতায়। তাঁর পিতার নাম বঙ্কিমবিহারী দাস। ১৯২০ সালে ভবানীপুর মিত্র ইন্সটিটিউশন থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কংগ্রেসের সদস্য হয়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯২৮-২৯ সনে বঙ্গবাসী কলেজের ছাত্র ছিলেন। ১৯২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বন্যার্তদের যথেষ্ট সাহায্য করেন।[৩]
 
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
১৯২৯ সালের ১৪ জুন যতীন দাসকে তাঁর কলকাতার বাড়ি থেকে লাহোর পুলিশের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত ঐ সময় ইস্যু ছিল লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার বিচারাধীন বলে এই গ্রেপ্তার। পরবর্তী সময়ে এরা জেলের ভেতর রাজনৈতিক বন্দিদের মর্যাদার দাবীতে এবং মানবিক সুযোগ সুবিধার আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। তাঁরা ১৩ জুলাই থেকে ভগৎসিং ও বটুকেশ্বর দত্তের সমর্থনে অনশন সংগ্রাম আরম্ভ করে। যতীন দাস ছাড়া আর কারো অনশন আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ছিল না। ভাবাবেগে চালিত হয়ে অনশন সংগ্রামে যোগ দিতে নিষেধ করেছিল অন্য সাথীদের। সে বলল, রিভলবার পিস্তল নিয়ে লড়াই করাই চেয়ে অনেক বেশি কঠোর এক অনশন সংগ্রামে আমরা নামছি। অনশন সংগ্রামীকে তিল তিল করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে হয়।
 
যতীন দাস আরো বলেন, সে নিজে অনশন আরম্ভ করলে যতদিন না সরকার দাবী মেনে না নেয়, ততদিন অনশন চালিয়ে যাবে। সবাইকে বলে তাড়াহুড়ো করে কোন কিছু না করাই ভাল। যতীন দাসের হুশিয়ারি সত্ত্বেও পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঐতিহাসিক লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার অনশন শুরু হয়। ওদিকে মামলার কাজও চলছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
 
বিপ্লবী জীবন[সম্পাদনা]
১৯২৩ সনে বিপ্লবী শচীন্দ্রনাথ সান্যাল কলকাতার ভবানিপুরে ঘাঁটি করলে তিনি এই দলে যোগ দেন। পরে দক্ষিণেশ্বরের বিপ্লবী দলের সংগেও তাঁর যোগাযোগ হয়। ১৯২৪ সালে দক্ষিণ কলকাতায় "তরুণ সমিতি" প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই সময় গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা জেলে প্রেরিত হন। জেল কর্তৃপক্ষের আচরণের প্রতিবাদে ২৩ দিন অনশন করেন। ১৪ জুন ১৯২৯ তারিখে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে লাহোর জেলে প্রেরিত হন। এখানে রাজবন্দিদের উপর জেল কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহারের জন্য অনশন শুরু করেন। এই সময় তাঁকে বহুবার জোর করে খাওয়াবার চেষ্টা করা হয়। ৬৩ দিন অনশনের পর তিনি মারা যান। এইভাবে মৃত্যুবরণ করার ফলে রাজবন্দিদের উপর অত্যাচার প্রশমিত হয়েছিলো। এই বীর শহিদের মৃতদেহ কলকাতায় আনা হলে দুই লক্ষ লোকের এক বিরাট মিছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে শোকযাত্রায় কেওড়াতলা শ্মশানঘাট পর্যন্ত অনুগমন করে।[৩][৪] মৃত্যুর আগে অতি কষ্টে ক্ষীণ কন্ঠে তিনি তাঁর শেষ ইচ্ছা ব্যাক্ত করে গেলেন, নৈষ্ঠিক শাস্ত্র বিশ্বাসী বাঙালী ফ্যাসনে আমাকে কালীবাড়ী নিয়ে যাওয়া বা অন্যান্য সৎকর্ম করিও না। আমি একজন ভারতীয়।আমি কেবল বাঙালীর নই।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
 
তাঁর মৃত্যুতে যতীন দাসের বৃদ্ধ পিতা বঙ্কিমচন্দ্র দাস অতুলনীয় গাম্ভীর্যে মন্ত্রোচ্চারণ করে বলেছিলেন, ওঁ নারায়ণ, যে দেশদ্রোহিরা মাতৃভুমিকে বিদেশীর হাতে সমর্পণ করেছিল, তাদের সকলের প্রায়শ্চিত্য স্বরূপ আমার আদরের খেঁদুকে অশ্রু / অর্ঘ সহ তোমার চরণে সমর্পণ করলাম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
 
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অনশনে শহীদগণ[সম্পাদনা]
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে অনশন করে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের কয়েকজন হচ্ছেন যতীন্দ্রনাথ দাস, মহাবীর সিং, মোহিতমোহন মৈত্র, মোহনকিশোর নমোদাস, মহেন্দ্রলাল বিশ্বাস, হরেন্দ্র মুন্সী, অনিলকুমার দাস, মণীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিতরাম রক্ষাসহ আরো অনেকে।[৪][৫]
 
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
বটুকেশ্বর দত্ত
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
ঝাঁপ দাও ↑ Heroes of Anti Imperialist (British) Movement
ঝাঁপ দাও ↑ Indian Post article
↑ ঝাঁপ দাও: ৩.০ ৩.১ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৯২, ISBN 978-81-7955-135-6
↑ ঝাঁপ দাও: ৪.০ ৪.১ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯৫-১৯৬।
ঝাঁপ দাও ↑ শৈলেশ দে, মৃত্যুর চেয়ে বড়, বিশ্ববাণী প্রকাশনী, কলিকাতা, প্রথম (বি) সংস্করণ অগ্রহায়ণ ১৩৯২, পৃষ্ঠা ১৭৪।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
Indian Post article
The Pioneer article by Balbir Punj
বিষয়শ্রেণীসমূহ: অনুশীলন সমিতি১৯০৪-এ জন্ম১৯২৯-এ মৃত্যুভারতীয় বিপ্লবীকলকাতার ব্যক্তিত্বঅনশনে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিত্বভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনকলকাতার বিপ্লবী ও রাজনীতিবিদভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ
[বন্ধ করে দিন]
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার নিবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশ নিন ও সমৃদ্ধ করুন দেশীয় সংস্কৃতি। প্রতিযোগিতাটি চলবে ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত।
পরিভ্রমণ মেনু
আপনি সংযুক্ত ননআলাপঅবদানঅ্যাকাউন্ট তৈরি করুনপ্রবেশনিবন্ধআলোচনাপড়ুনসম্পাদনাইতিহাস দেখুনঅনুসন্ধান
 
অনুসন্ধান
চলো
প্রধান পাতা
সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার
সম্প্রদায়ের আলোচনাসভা
সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহ
অজানা যেকোনো পাতা
সাহায্য
দান করুন
মুদ্রণ/রপ্তানি
বই তৈরি করুন
PDF ডাউনলোড
ছাপার যোগ্য সংস্করণ
সরঞ্জাম
সংযোগকারী পৃষ্ঠাসমূহ
সম্পর্কিত পরিবর্তন
আপলোড
বিশেষ পৃষ্ঠাসমূহ
স্থায়ী সংযোগ
পাতার তথ্য
উইকিউপাত্ত আইটেম
এই নিবন্ধটি উদ্ধৃত করুন
সংক্ষিপ্ত ইউআরএল
অন্যান্য ভাষাসমূহ
English
मराठी
ਪੰਜਾਬੀ
Русский
தமிழ்
আন্তঃউইকি সংযোগ সম্পাদনা
এ পৃষ্ঠায় শেষ পরিবর্তন হয়েছিল ১৫:৩৬টার সময়, ৩ মে ২০১৬ তারিখে।
লেখাগুলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন/শেয়ার-আলাইক লাইসেন্সের আওতাভুক্ত; এর সাথে বাড়তি শর্ত প্রযোজ্য হতে পারে। এই সাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে, আপনি এটি ব্যবহারের শর্তাবলী ও এর গোপনীয়তা নীতির সাথে সম্মত হচ্ছেন। উইকিপিডিয়া®, অলাভজনক সংস্থা উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের একটি নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক।